Dastak Jo Pahunchey Har Ghar Tak

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on email

*দীর্ঘ দিনধরে সেতুটি বিপজ্জনক।*

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on email
ASANSOL DASTAK ONLINE DESK

ASANSOL DASTAK ONLINE DESK

দীর্ঘ দিনধরে সেতুটি বিপজ্জনক। তবুও সংস্কার হয়নি সেতুটি। এখন বাধ্য হয়ে গলসি ২ ব্লকের সারুল মোড়ের ওই সেতু দিয়েই যাতায়াত করছেন শিমুলিয়া, ছোটমুড়িয়া সহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, গ্রামের সঙ্গে বাজারহাটের যোগাযোগের একটাই সেতু। স্কুল, অফিস যাতায়াতের পথ ওটাই। অথচ বারবার বলা সত্ত্বেও সেতুটি সংস্কার হয়নি। সেচ দফতরের তরফে কয়েক বাছর আগে সেতুটি বিপজ্জনক বলে বোর্ড ঝোলানো হলেও সেতু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অনেকের অভিযোগ।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়ো ডিভিসি সেচখালের উপর রয়েছে সেতুটি। সাইকেল, মোটরবাইক সহ সব ধরণের যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু সেতু সংস্কার না হওয়াতে দুর্বল হয়ে পড়েছে সেতুটি। গার্ডওয়াল থাকলেও সেইগুলো শক্তপোক্ত নয়। সেতুর দু’প্রান্ত নিচু হয়ে বসে গিয়েছে। সেতুর মেঝেতে কিছু জায়গাতে ফাটল ধরেছে। তাতে যে কোনও সময় গাড়ির চাকা ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই পরিস্তিতেই ঝুঁকি নিয়ে যাতাযাত করছে গ্রামের মানুষ। বাসিন্দারা সেতু সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার সেচ দফতরে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কোন সুরাহ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল মল্লিক, সঞ্জয় রুইদাস বলেন, “ ভাঙা সেতু দিয়েই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যাত্রীবাহী যানবাহন সহ ট্রাক, ট্রাক্টরে, ভ্যান মালপত্র বোঝাই করে আসা যাওয়া। গাড়ি চালানোর সময় একটু অসাবধান হলেই বিপদ। শেখ আব্দুল সামাদ নামে এক ট্রাক্টর চালক জানান, “ দুর্বল সেতু দিয়ে ধানের গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় হয়। অন্য রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করি।” তাঁর দাবি, সেতু থেকে যান বাহন পড়লে প্রায় ২০ ফুট নীচে পড়বে।
বিডিও (গলসি ২) সঞ্জীব সেন বলেন, “সেচ দফতর সেতুটির অবস্থার কথা জানে। ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। ওই সেতু ভেঙে নতুন সেতু গড়ার সেচ দফতরকে প্রস্তাব দিয়েছি।”সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সেতুটি রেলিং সহ লোহার পাত দিয়ে পাঠাতন করে পারাপারের উপযুক্ত করা হয়েছে কয়েক বছর আগে। পাশাপাশি আমরা ওই এলাকায় নতুন সেতু গাড়র পরিকল্পনা নিয়েছি।” অর্থ অনুমোদন হলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে তাঁর দাবি।