রাস্তা আছে, কিন্তু থাকা না থাকা সমান। এমনই অভিযোগ গলসি ২ ব্লকের দরবারপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশে। তাঁদের দাবি, গ্রামের মাঝের পাড়া থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মতো রাস্তা দীর্ঘ দিন থেকে খানাখন্দে ভর্তি। বারবার রাস্তা সারানোর দাবি জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে। দেখছি দেখব বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোনও কাজ হয়নি। ফলে বর্ষায় ওই রাস্তা চলার অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দরবারপুর মোর থেকে গ্রামের ভিতর দিয়ে একবারে গ্রামের শেষ প্রান্তে পশ্চিমপাড়া চলে গিয়েছে রাস্তাটা। দৈর্ঘ্যে রাস্তাটি প্রায় ২ কিলোমিটার। মাঝপাড়া পর্যন্ত ঢালাইয়ের রাস্তা। বাকি অংশ মোরামের। এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল প্রায় দেড়শোটি পরিবার। একটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র আর গ্রামের এক মাত্র প্রাইমারি স্কুলটিও রয়েছে এই রাস্তাতেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ১০-১২ বছর যাবৎ রাস্তা সংস্কার বা সারানো হয়নি। পুরো রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি। একেবারে চলাচলের অযোগ্য। এই রাস্তা দিয়েই ছেলেমেয়েরা পায়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাতায়াত করে। স্কুলের যাওয়ার পথে অনেকেই রাস্তায় পড়ে বিপদ করে। দরবারপুর এফপি স্কুলের টিচার ইনচার্য মুজিবর রহমান ও সহ শিক্ষিক মহম্মদ গিয়াসাসুদ্দিন মোল্লারা বলেন, “রাস্তাটির অবস্থা খারাপ। এমনিতে ওই রাস্তা দিয়ে এমনিতেই চলাচল করা দায়। বর্ষায় আরও করুণ অবস্থা হয়। স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বর্ষার অর্ধেক দিন স্কুলে আসতে পারে না। রাস্তাটা সংস্কারের খুব প্রয়োজন।”
ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ বাবু, আসাদুল শাহা, এমদাদুল হালসানা, দিলিপ রুইদাসরা জানান, “গত এক দশকের বেশি সময় ধরে রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজ হয়নি।
পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি সর্বত্র বলেও রাস্তা সারানো যায়নি। বর্ষার সময়, তাই জল কাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা। তবুও খানাখন্দে মোরাম দেওয়া হয়নি।” তাদের দাবি, রাস্তাতে হয় মোরাম দেওয়া হক। তা না হলে রাস্তাটি ঢালাইয়ের করা হক। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হেমন্ত পাল রাস্তা খারাপের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “২০২১-২২ অর্থ বর্ষে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই রাস্তাটা ঢালাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র একশোদিনের টাকা বরাদ্দ করেনি। তাই রাস্তার কাজটা হয়নি।” এবার পঞ্চায়েত সমিতির নতুন বোর্ডের প্রথম কাজ হবে ওই রাস্তা ঢালাই করার এমনটাই দাবি হেমন্তের।